খেলাধুলা একটি দেশকে যতস্বল্প সময়ে বিশ্ববাসির কাছে পরিচিত করতে পারে; যা অন্য কোনভাবে সম্ভব নয়। সুস্থ ও শক্তিশালী জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। যুব সমাজের চরিত্র গঠন তথা সুশৃংখল জাতিগঠনে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ‘‘সুস্যহ দেহে সুন্দর মন’’ কথাটি অনুধাবন করে প্রতিটি বালক বালিকাদের মাঝে খেলাধুলার ব্যাপক প্রসার ঘটানো একান্ত অপরিহার্য় । স্বাস্থ্যবান জাতি মানেই সমৃদ্ধশালী জাতি। আমাদের জনগোষ্ঠীর এক বৃহত্তম অংশ শিশু-কিশোর,বালক-বালিকা । এই তরুনদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ গ্রামগঞ্জে বাস করে। শহরে যারা বাস করে তাদের জন্য খেলাধুলার কিছু সুযোগ থাকলেও গ্রাম-গঞ্জে বসবাসরত বহু প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়ী বালক বালিকারা খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত। এদের সুযোগ অত্যন্ত অপ্রতুল। এ অবস্থা দুর করে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা কঠিন কাজ। এই সম্ভবনা ও প্রতিভাবান শক্তিকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করে দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন করা সম্ভব। সুখী সমাজ তথা সুস্থ দেশ গঠন,আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড় সৃষ্টি করে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন , বেকারত্ব দূরীকরণ ও অসামাজিক কার্যকলাপ হতে যুবসমাজকে নিবৃত রাখার সহজ মাধ্যম খেলাধুলা। যুব সমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করা জেলা ক্রীড়া অফিসের একমাত্র লক্ষ্য। এ ব্যাপারে অত্র অফিস সম্পূর্ণ সচেতন। ১৯৭৬ সালে ক্রীড়া পরিদপ্তর সৃষ্টি লগ্ন থেকে জেলা ক্রীড়া অফিসের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুরুপে বাস্তবায়ন করে আসছে। ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা দিয়ে গ্রামাঞ্চলের সম্ভবনাময়ী তরুন তরুনীরা খেলাধুলায় যাতে অংশ নিতে পারে এজন্য গোপালগঞ্জ জেলা ক্রীড়া অফিস জেলার প্রতি উপজেলায় বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচী বস্তবায়ন করে আসছে। বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচীর আওতায় অনূর্ধ্ব ষোল বৎসর বয়স্ক ছেলে ও মেয়েরা ক্রীড়ার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ক্রীড়ার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার বিকল্প কিছু নেই। এর মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য সুপ্ত প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। যারা আগামী দিনে ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতির আশা আকাংখা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস